এবার হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) রেজিস্ট্রার দপ্তরের সংস্থাপন প্রশাসন-১ এ কর্মরত ছিলেন তিনি। রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুর ২টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি প্রতিনিধি দল যবিপ্রবির প্রধান ফটকের সামনে থেকে সাবেক এই নেতাকে গ্রেপ্তার করে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৬ আগস্ট রাত ১১ টায় ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে তৎকালীন মুহসীন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিবিরকর্মী সন্দেহে ঢাবির পাঁচ শিক্ষার্থীকে রাতভর শারীরিক নির্যাতন চালায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা শিবির করেন না জানালেও তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম ও জিহ্বায় ছুরি চালাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে ঐ পাঁচ শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন ছাত্রলীগ তারা।
এ বিষয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহবাগ থানায় ভুক্তভোগী ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাসরুর, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বাপ্পি মিয়া, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ইবরাহীম হোসেন, মেহেদী হাসান এবং আবদুল গাফফারের পক্ষে মাসরুর বাদী হয়ে ১৩ জন ছাত্রলীগ নেতার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলার তিন নং আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তারে সহযোগিতা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে চিঠি দেয় শাহবাগ থানা পুলিশ। পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অভিযুক্ত সাইফুর রহমানকে পুলিশে সোপর্দ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো: আমজাদ হোসেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হলের শিক্ষার্থীকে মারধরের অপরাধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়। মামলার আসামী ঢাবি ছাত্রলীগের তৎকালীন আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান যবিপ্রবির সেকশন অফিসার সাইফুর রহমান। তাকে আটকের জন্য শাহবাগ থানা পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সহায়তা চাইলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ও সাইফুর রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে প্রধান ফটকের সামনে নিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।
এ বিষয়ে যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, ঢাকা থেকে ডিএমপির একটি টিম এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। আসামি আটকের পর তারা সম্ভবত ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে গেছে।